ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আপনাদের নির্বাচনী ফলাফল আগে থেকেই তৈরি থাকে: ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক ::  বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শেখার আছে- সিইসি কেএম নূরুল হুদার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগে আপনারা তো ফল প্রকাশ করতে পারবেনই। কারণ আপনাদের ফলাফল আগে থেকেই তৈরি করা থাকে।

আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং পুনঃভোটের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শেখার আছে বলে মন্তব্যের জন্য সিইসির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, কী হাস্যকর, কী অদ্ভুত কথা এবং কী লজ্জার কথা! যুক্তরাষ্ট্র ৫ দিনেও ফলাফল ঘোষণা করতে পারে না, এটা আমরা ৫ মিনিটে পারি। এটা তো পারবেন এজন্যই যে, আপনাদের ফলাফল আগে থেকে তৈরি করা থাকে।

তাছাড়া এই নির্বাচন কমিশনদের লজ্জা-শরমও করে না, তাদের হায়া বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ একটাই, বিরোধী দলকে এখান থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এখানে ভিন্নমত রাখা যাবে না। আজকে পত্র-পত্রিকা কিছু লিখতে পারে না, সাংবাদিকদের জেল দিয়ে দিচ্ছেন, সাংবাদিকদের হত্যা করছেন।

ঢাকায় উপনির্বাচনের দিন রাজধানীতে বাসে আগুন লাগানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে। অন্য কোনোভাবে আমরা সরকার পরিবর্তনের কথা চিন্তাও করি না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এত সন্ত্রাস, এত কারচুপি, এত ভয়ভীতি প্রদর্শন করার পরেও এখানে ১৪ শতাংশের বেশি ভোট তারা (নির্বাচন কমিশন) দেখাতে পারেনি।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমরা সরকারকে বলব, পদত্যাগ করুন। অন্যথায় প্রত্যেকটি স্বৈরাচার, প্রত্যেকটি কর্তৃত্ববাদী সরকার যেভাবে বিদায় হয়েছে আপনাদেরকেও জনগণের উত্তাল আন্দোলনে বিদায় হতে হবে।

বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: